০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে

চুয়াডাঙ্গার পুত্রবধু মালয়েশিয়ান তরুণীকে ফুল দিয়ে বরণ

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান আতিকা। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন রিংকু ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের উথলী গ্রামে।

রিংকু রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজে যান। সেখানেই পরিচয় হয় আতিকার সঙ্গে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়ে এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। অবশেষে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, আমি ছয় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। এরমধ্যে তিন মাস কেটে গেছে। আমার সঙ্গে ওরও বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা ছিল। এখন যখন আমি বাড়িতে, তখন ও-ও এসেছে। ছুটি শেষে আমরা আবার একসঙ্গে মালয়েশিয়ায় ফিরে যাব।

এ বিষয়ে রিংকুর বাবা জিনারুল মল্লিক বলেন, ছেলের পছন্দকে আমরা সম্মান জানিয়েছি। পুত্রবধূ ভিনদেশি হলেও আমাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলেমিশে যাচ্ছে। ঘরের কাজকর্মেও সে খুব আন্তরিক।

স্মৃতিনূর আতিকার আগমন নিয়ে উথলী গ্রামে দেখা দিয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। গ্রামীণ জনপদে একজন বিদেশি পুত্রবধূর উপস্থিতি স্থানীয়দের মাঝে উৎসাহ ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তাকে একনজর দেখতে রিংকুর বাড়িতে ভিড় করছেন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গার মুন্সিপুর সীমান্তে স্বর্ণসহ চোরাকারবারি আটক

দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে

চুয়াডাঙ্গার পুত্রবধু মালয়েশিয়ান তরুণীকে ফুল দিয়ে বরণ

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান আতিকা। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন রিংকু ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে সোজা নিয়ে আসা হয় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের উথলী গ্রামে।

রিংকু রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কাজে যান। সেখানেই পরিচয় হয় আতিকার সঙ্গে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ বাড়ে এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। অবশেষে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, আমি ছয় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। এরমধ্যে তিন মাস কেটে গেছে। আমার সঙ্গে ওরও বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা ছিল। এখন যখন আমি বাড়িতে, তখন ও-ও এসেছে। ছুটি শেষে আমরা আবার একসঙ্গে মালয়েশিয়ায় ফিরে যাব।

এ বিষয়ে রিংকুর বাবা জিনারুল মল্লিক বলেন, ছেলের পছন্দকে আমরা সম্মান জানিয়েছি। পুত্রবধূ ভিনদেশি হলেও আমাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিলেমিশে যাচ্ছে। ঘরের কাজকর্মেও সে খুব আন্তরিক।

স্মৃতিনূর আতিকার আগমন নিয়ে উথলী গ্রামে দেখা দিয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। গ্রামীণ জনপদে একজন বিদেশি পুত্রবধূর উপস্থিতি স্থানীয়দের মাঝে উৎসাহ ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তাকে একনজর দেখতে রিংকুর বাড়িতে ভিড় করছেন