জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার আয়োজনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রশিবিরের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সাগর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলাম।
সভাপতি সাগর আহমেদ বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা ইতিহাসের এক গৌরবজ্জ্বল মাস জুলাই-এর চেতনাকে ধারণ করে রাজপথে দাঁড়িয়েছি। আজকের এই জুলাই প্রহর মিছিল শুধু স্মরণ নয়, এটা জবাবদিহি, প্রতিবাদ এবং প্রতিশোধের ঘোষণা।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল এই জাতি অন্যায়, বৈষম্য ও শোষণবাজাদের বিরুদ্ধে একযোগে দাঁড়াতে জানে। এই বিপ্লব শুধু ছাত্র নয় শ্রমজীবি, কৃষক, শিক্ষক, ওলামা, নারীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল। তারা লড়েছিল অবিচার, বৈষম্য, ইসলামবিদ্বেষ ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির বিরুদ্ধে।
সাগর আহমেদ বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, এই বিপ্লবের রক্তভেজা রাজপথ দিয়ে হাঁটা সত্ত্বেও, কিছু স্বার্থান্ধ গোষ্ঠী এই বিপ্লবের চেতনাকে দলীয় হীনস্বার্থে ভোগ করতে লেগেছে। তারা জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগকে অসম্মানিত করছে। তারা আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সম্মানকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য বলি যদি আপনারা এখনই আত্মসমালোচনা করে নিজেদেরকে সংশোধন না করেন, যদি আপনারা বিপ্লবের মূল চেতনায় ফিরে না আসেন। তবে আমরা আরেকটি বিপ্লবের দিকে ধাবিত হব, আমরা শক্তিশালী গণআন্দোলনে গড়ে তুলব।
সাগর আহমেদ বলেন, আজকের এই মিছিল থেকে আমরা ঘোষণা করছি “জুলাই সনদ” জুলাই বিপ্লবের ১ বছর পূর্ণ হবার আগেই দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও স্বার্থলোভী দলের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। বিপ্লব বিরোধীদের রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে নির্মূল করতে হবে। ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গড়ার পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদাবাজ, সুবিধাবাদী ও বিপ্লববিরোধীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অফিস সম্পাদক হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, জেলা অর্থ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, চুয়াডাঙ্গা পৌর সভাপতি রাব্বি হাসান সহ অন্যান্য দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা অফিস সম্পাদক হাফেজ মাসুম বিল্লাহ।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















