চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গহেরপুর-সড়াবাড়িয়া সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবু হুজাইফা শুভ (২৩) নামের পবিত্র কুরআনের হাফেজের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলচালক তারই ফুফাতো ভাই সোলাইমান হক (২১)।

আজ সোমবার (০৯ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার গহেরপুর-সড়াবাড়িয়া সড়কের সুপার ব্রিকসের নিকট এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু হুজাইফা শুভ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আরিফুজ্জামানের ছেলে। তিনি হেফজ শেষ করে মাওলানা পড়ছিলেন৷

আহত সোলাইমান হক জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের বাজারপাড়ার হারু ন আলীর ছেলে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ফুফাতো ভাই সোলাইমানের সঙ্গে আবু হুজাইফা একই মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা সদরের দশমাইলে আক্কাস লেক ভিউ পার্ক এণ্ড রিসোর্টে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। সড়াবাড়িয়া-গহেরপুর সড়কের সুপার ব্রিকসের নিকট ব্যাক ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাকা রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে দুজন। এ সময় সামনে থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের পিছনের চাকার বাড়ি লেগে গুরুতর আহত হয় হুজাইয়া। চালক সোলাইমান সামান্য আহত হয়।

পরিবারের সদস্যরা আরও বলেন, স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সড়াবাড়িয়া বাজারে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে আমরা খবর পেয়ে মাইক্রোবাসযোগে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দ্রুত সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক হুজাইফাকে মৃত ঘোষণা করেন। সোলাইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে সড়াবাড়িয়া-গহেরপুর সড়কের দুই ইট ভাটার মাঝামাঝিস্থানে। দুর্ঘটনার শিকার দুজন হিরো হোন্ডা স্পিল্ডার মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। আমি তাদের পিছনে ছিলাম মোটরসাইকেলে। এ সময় দ্রুতগতিতে ১৫০ সিসির সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করে ব্যাক ঘোরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনই পড়ে যায়। ট্রাক্টরচালক তাদেরকে বাচানোর জন্য ট্রাক্টর রাস্তা থেকে নিচে নামিয়ে দিলেও ছিটকে এসে চাকায় সঙ্গে বাড়ি লেগে একজন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের পরিবারকে খবর দেয়।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসি রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, জরুরি বিভাগে দুজনকে নিয়ে আসলে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর আবু হুজাইফা শুভকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত সোলাইমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিস্তারিত জানতে খোজ নেয়া হচ্ছে।