০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নতুন বস্তার পরিবর্তে পুরানো বস্তা কিনে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি বস্তা ক্রয়ে দূর্নীতি, ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি বস্তা ক্রয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজন খাদ্য কর্মকর্তা, একজন কৃষি কর্মকর্তা এবং দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার (২৮ মে) দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি (নং- ০৪/২৫) দায়ের করেন।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন – চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিয়ারাজ হুসাইন, চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম, ঢাকার এমএসিএস জুট ফাইবারের প্রোপাইটার মোহাম্মদ আলী হোসেন, ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোহেল রানা এবং চুয়াডাঙ্গা সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ছয় লাখ খালি বস্তা সরবরাহের জন্য ঢাকার এমএসিএস জুট ফাইবারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কিন্তু, প্রতিষ্ঠানটি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ২০ হাজার ১০০টি পুরাতন, মানহীন ও ব্যবহার অনুপযোগী বস্তা সরবরাহ করে। মানহীন এসব বস্তা চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিয়ারাজ হুসাইন গ্রহণ করেন। পরে কৃষি কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া যাচাই না করেই সরবরাহকৃত বস্তাগুলোকে মানসম্পন্ন বলে প্রত্যয়ন দেন। এমনকি কেন্দ্রীয় খাদ্য অধিদপ্তরে প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব পুরাতন বস্তাকে চুক্তি অনুযায়ী নতুন বস্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই অনিয়মের মাধ্যমে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এতে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে অসৎ উদ্দেশ্যে মানহীন পুরাতন বস্তা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।”

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

নতুন বস্তার পরিবর্তে পুরানো বস্তা কিনে ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি বস্তা ক্রয়ে দূর্নীতি, ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় সরকারি বস্তা ক্রয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনজন খাদ্য কর্মকর্তা, একজন কৃষি কর্মকর্তা এবং দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার (২৮ মে) দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি (নং- ০৪/২৫) দায়ের করেন।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন – চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিয়ারাজ হুসাইন, চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম, ঢাকার এমএসিএস জুট ফাইবারের প্রোপাইটার মোহাম্মদ আলী হোসেন, ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সোহেল রানা এবং চুয়াডাঙ্গা সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ছয় লাখ খালি বস্তা সরবরাহের জন্য ঢাকার এমএসিএস জুট ফাইবারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কিন্তু, প্রতিষ্ঠানটি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ২০ হাজার ১০০টি পুরাতন, মানহীন ও ব্যবহার অনুপযোগী বস্তা সরবরাহ করে। মানহীন এসব বস্তা চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিয়ারাজ হুসাইন গ্রহণ করেন। পরে কৃষি কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া যাচাই না করেই সরবরাহকৃত বস্তাগুলোকে মানসম্পন্ন বলে প্রত্যয়ন দেন। এমনকি কেন্দ্রীয় খাদ্য অধিদপ্তরে প্রেরিত প্রতিবেদনে এসব পুরাতন বস্তাকে চুক্তি অনুযায়ী নতুন বস্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই অনিয়মের মাধ্যমে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এতে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে অসৎ উদ্দেশ্যে মানহীন পুরাতন বস্তা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।”