বাংলা বছরের প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গায় বিষপান করে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় বিষপানে দুজন নারী এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার পারলক্ষীপুর গ্রামে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুই যুবক নিহত ও আহত হয়েছে অপর এক যুবক।
নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বড়াই গ্রামের সেন্টুর ছেলে মোটরসাইকেল চালক মো. খালিদ (১৮) ও একই গ্রামের আরিফের ছেলে তামিম (১৮)। এবং আহত সজিব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সিন্দুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। আহত সবিজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুষ্টিয়ায় গানের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে এদূর্ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামে ইঞ্জিনচালিত অবৈধযান লাটাহাম্বারের ধাক্কায় ইখতার মণ্ডল (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধার পরে নিজ এলাকায় এদূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইখতার হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের কূলপালা গ্রামের পশ্চিমপাড়া মৃত. শরবত আলী মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রকিবুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বৃদ্ধ ইখতার হোসেনের বাড়ির পাশেই তার মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি। মাগরিবের নামায পর তিনি জামাই বাড়িতে যান। সেখান থেকে পায়ে হেটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় আলোবিহীন (হেডলাইট) ইঞ্জিনচালিত অবৈধযান লাটাহাম্বার তাকে ধাক্কায় দেয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা বৃদ্ধ ইখতারকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিষপান করে দুইজন নারী মারা গেছেন।
তারা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মো. জুয়েলের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৩৮) ও একই উপজেলার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী নিলুফা খাতুন (৪০)।
সদর হাসপাতাল ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রোববার সকালে ছয়ঘরিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে বিষপান করেন মমতাজ বেগম। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। এর কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, গত শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) স্বামীর উপর অভিমান করে বিষপান করেন নিলুফা খাতুন। অবস্থার অবনতি হলে রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সেকেন্দার আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছি। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে দুজনের মরদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সকালে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বৃদ্ধের পরিবার ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















