চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গায় দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালিদ (১৮) ও তামিম (১৮) নামে দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অপর এক আরোহী সজিব (১৮)।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের পারলক্ষীপুর গ্রামে ঘটনা ঘটে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বড়াই গ্রামের সেন্টুর ছেলে মোটরসাইকেল চালক মো. খালিদ (১৮) ও একই গ্রামের আরিফের ছেলে তামিম (১৮)। এবং আহত সজিব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সিন্দুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভোরে সড়কের পাশে দুজনের মরদেহ ও একজনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা৷ পাশেই মোটরসাইকেল ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে আহত সজিবকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে বেপরোয়া গতির কারণে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এদূর্ঘটনা ঘটেছে।

সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং (ইউপি) সদস্য নাজির হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মাস খানেক আগে খাদিককে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেয় তার বাবা। এরপর থেকে তার ঘোরাঘুরির পরিমান বেড়ে যায়। আজ সকালে শুনতে পায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজন নিহত হয়েছে। তারা রাতে কুষ্টিয়ায় একটি গানের অনুষ্ঠান শেষে ভোরে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, এক মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। একজনকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা। দুজনে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সজিবের শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। সে শঙ্কামুক্ত নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

এএইচ