চুয়াডাঙ্গায় মোটরের সুইচ দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আঙ্গুরা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাড়ির কলপাড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আঙ্গুরা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাড়াবাড়ী গ্রামের ভ্যানচালক খাঁজা আলীর স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন৷
প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ছোট মেয়ের জামা-কাপড় ধৈত করছিলেন আঙ্গুরা খাতুন। এ সময় ২-৩ বার মোটরের সুইচ দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বড় মেয়ে নিষেধ করার পরও আবারো সুইচ দিলে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের প্রতিবেশি সীমা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, তিন সন্তানই ছোট। বড় মেয়ের বয়স ৯ বছর, মেজোর মেয়ের ৮ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ১০ মাস। এখন এই তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভ্যানচালক বাবা।
নিহতের স্বামী খাঁজা আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বাড়ির মোটরের সুইচ দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রীর হাত-পায়ে মালিশ করছেন প্রতিবেশীরা। পরে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় মেয়ে ইয়াসমিন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে জানায়, আমি কাকিদের বাড়িতে ছিলাম। মা কি করছে তা দেখার জন্য আমার মেজো বোনকে পাঠায়। সে এসে আমাকে বলে মা কলপাড়ে পড়ে আছে। আমিও তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখি সত্যিই মা পড়ে আছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ইয়াসমিন।

স্থানীয় সংবাদকর্মী ও ব্যবসায়ী আশিক রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, বড় মেয়ে বুঝতে পারলেও মেজো ও ছোট মেয়ে মায়ের অনুভব বুঝেনি। আমাদের চোখের সামনে একজন তরতাজা মানুষ মারা গেলো। তিন মেয়েকে নিয়ে সবাই এখন চিন্তিত। বাদ আছর জানাযার নামায শেষে মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুপুরে আঙ্গুরা খাতুনকে তার পরিবারের সদস্যরা জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমানের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এএইচ