১২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিএনপি নেতা রফিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যার ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি মো. খাজা আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন—তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেম টোটন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক।

দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি মো. খাজা আবুল হাসনাত বলেন, “তিনজনের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যায় জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা দলের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যার ফলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে, দলে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড বা চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। রফিক হত্যার ন্যায়বিচার চায় দল এবং নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।”

প্রসঙ্গত, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি ও ভিজিএফ’র কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন গ্রুপ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরমধ্যে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক নিহত হন। আহত হন আরও চারজন। এ ঘটনায় রফিকের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযানে গিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ঋণের দায়ে গাভি কেড়ে নিলেন বিএনপি নেতা, বাছুর নিয়ে আদালতে নারগিস

বিএনপি নেতা রফিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার

প্রকাশের সময় : ০২:০৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যার ঘটনায় বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি মো. খাজা আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন—তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেম টোটন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক।

দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি মো. খাজা আবুল হাসনাত বলেন, “তিনজনের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যায় জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা দলের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, যার ফলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে, দলে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড বা চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। রফিক হত্যার ন্যায়বিচার চায় দল এবং নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।”

প্রসঙ্গত, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি ও ভিজিএফ’র কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন গ্রুপ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরমধ্যে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক নিহত হন। আহত হন আরও চারজন। এ ঘটনায় রফিকের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযানে গিয়ে এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।