০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক শীর্ষ ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের আহদনগর (ঠকপাড়া) গ্রামের নিহত হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন এবং কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম।

স্থানীয় সাংবাদিক চঞ্চল চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, রাতে ওই এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় লোকজন গেলে ধান ক্ষেত ও পিঁয়াজের জমিতে তিনটি গুলি বিদ্ধ লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসছে। তবে নিহতদের মধ্যে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চরমপন্থী নেতা হানিফ এবং তার দুই সহকর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে।

এদিকে, হানিফ সহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর জনৈক কালু পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়।

হোয়াটসআপ বার্তায় দাবী করা হয় “এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ,কুষ্টিয়াা,যশোর ও খুলনাবাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মোঃ হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।

এদিকে দীর্ঘদিন পর চরমপন্থিদের গুলির লড়াই ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রদান জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাটি নির্জন। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর “ফাইভ মার্ডার” হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, “সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জাসদ গণবাহিনীর নামে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এমন একটি বার্তা ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কি কারণে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই।”

One thought on “ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১২:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক শীর্ষ ক্যাডার ও একাধিক হত্যা মামলার আসামি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের আহদনগর (ঠকপাড়া) গ্রামের নিহত হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন এবং কুষ্টিয়া ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম।

স্থানীয় সাংবাদিক চঞ্চল চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, রাতে ওই এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় লোকজন গেলে ধান ক্ষেত ও পিঁয়াজের জমিতে তিনটি গুলি বিদ্ধ লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসছে। তবে নিহতদের মধ্যে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চরমপন্থী নেতা হানিফ এবং তার দুই সহকর্মীর পরিচয় পাওয়া গেছে।

এদিকে, হানিফ সহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর জনৈক কালু পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়।

হোয়াটসআপ বার্তায় দাবী করা হয় “এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ,কুষ্টিয়াা,যশোর ও খুলনাবাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মোঃ হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কালু জাসদ গণবাহিনী।

এদিকে দীর্ঘদিন পর চরমপন্থিদের গুলির লড়াই ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রদান জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাটি নির্জন। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর “ফাইভ মার্ডার” হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমরান জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, “সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জাসদ গণবাহিনীর নামে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এমন একটি বার্তা ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কি কারণে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই।”