০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় ধুমপান করায় স্বামীর উপর অভিমানে ফাঁস নিলেন কিশোরী নববধু

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর উপর অভিমান করে মুন্নি খাতুন (১৩) নামের কিশোরী নববধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মুন্নি খাতুনের মরদেহ নিজ পৈতৃক গ্রামে জানাযার নামায শেষে করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয় এই কিশোরী নববধু মুন্নি খাতুন। পরে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মুন্নিকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদি হাসপাতাল) নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত. মুন্নি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের চা’দোকানি বুলবুলির মেয়ে। গত সপ্তাহ খানেক আগে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের ডেকোরেশন মিস্ত্রী নাইম হাসানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে আগে থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

মুন্নির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারি কর্মকর্তা আলমডাঙ্গার স্থানীয় উসমানপুর পুলিশ ক্যম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মুন্নির বয়স ১২ কিংবা ১৩ বছর হবে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কিছুদিন আগে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে বিবাহ হয়। শনিবার মুন্নির চাচাতো দাদি মারা গেলে স্বামী নাইম হাসানকে নিয়ে দেখতে যায়। স্বামী নাইম হাসানের ধুমপানের অভ্যাস থাকায় পাশ্ববর্তী দোকানে যেতে চাওয়ায় মুন্নি খাতুন নিষেধ করে এবং আত্মহত্যার হুমকি দেয়। স্ত্রীর নিষেধ উপেক্ষা করে দোকানে যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে বিকেলে সেখান থেকে বাবার বাড়ি পৌছে গলায় ফাঁস দেয় মুন্নি।

এসআই আলমগীর হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে আরও বলেন, ঘটনার পত সংবাদ পেয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নেয়া হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়। দুই পরিবারের কোন অভিযোগ ছিল না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে দুজনের বিবাহ হয়। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুন্নির বয়স কম, ১৩ বছর হবে৷ মেয়েটির এক স্বজন মারা গেলে সেখানে গিয়ে স্বামী ধুমপান করায় দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় জানাযার নামায শেষে বড়বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া করবস্থানে মুন্নির মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে রোববার সকালে রেডিও চুয়াডাঙ্গার পক্ষ থেকে নিহত মুন্নির স্বামী নাইম হাসান ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

চুয়াডাঙ্গায় ধুমপান করায় স্বামীর উপর অভিমানে ফাঁস নিলেন কিশোরী নববধু

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর উপর অভিমান করে মুন্নি খাতুন (১৩) নামের কিশোরী নববধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে মুন্নি খাতুনের মরদেহ নিজ পৈতৃক গ্রামে জানাযার নামায শেষে করবস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয় এই কিশোরী নববধু মুন্নি খাতুন। পরে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মুন্নিকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হারদি হাসপাতাল) নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত. মুন্নি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামের চা’দোকানি বুলবুলির মেয়ে। গত সপ্তাহ খানেক আগে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নের মোচাইনগর গ্রামের ডেকোরেশন মিস্ত্রী নাইম হাসানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে আগে থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

মুন্নির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারি কর্মকর্তা আলমডাঙ্গার স্থানীয় উসমানপুর পুলিশ ক্যম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মুন্নির বয়স ১২ কিংবা ১৩ বছর হবে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কিছুদিন আগে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে বিবাহ হয়। শনিবার মুন্নির চাচাতো দাদি মারা গেলে স্বামী নাইম হাসানকে নিয়ে দেখতে যায়। স্বামী নাইম হাসানের ধুমপানের অভ্যাস থাকায় পাশ্ববর্তী দোকানে যেতে চাওয়ায় মুন্নি খাতুন নিষেধ করে এবং আত্মহত্যার হুমকি দেয়। স্ত্রীর নিষেধ উপেক্ষা করে দোকানে যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে বিকেলে সেখান থেকে বাবার বাড়ি পৌছে গলায় ফাঁস দেয় মুন্নি।

এসআই আলমগীর হোসেন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে আরও বলেন, ঘটনার পত সংবাদ পেয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নেয়া হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত সম্পন্ন করা হয়। দুই পরিবারের কোন অভিযোগ ছিল না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে দুজনের বিবাহ হয়। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুন্নির বয়স কম, ১৩ বছর হবে৷ মেয়েটির এক স্বজন মারা গেলে সেখানে গিয়ে স্বামী ধুমপান করায় দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ রোববার সকাল ১০টায় জানাযার নামায শেষে বড়বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া করবস্থানে মুন্নির মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে রোববার সকালে রেডিও চুয়াডাঙ্গার পক্ষ থেকে নিহত মুন্নির স্বামী নাইম হাসান ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।