চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন মামুনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সরোজগঞ্জ বাজারে ও নয়মাইল বাজারে পৃথক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সরোজগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন ছাত্রনেতা আরাফাত রহমান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব হোসেন, মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
অপরদিকে এদিন দুপুরে নয়ইমাইল বাজারে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, থানা শ্রমিকদলের সেক্রেটারি শাহিন হোসেন, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির মেম্বার, জেলা যুবদলের সদস্য আরিফ হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনসুর আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গার যাদবপুরে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনার মূলহোতাকে আড়াল করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দাবি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটির ফিঙ্গার প্রিন্ট নিলেই আসল হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
এছাড়া জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুনের মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করলেই পরকীয়া প্রেমিকের ঠিকানা বের করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার যাদবপুরে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় যাদবপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন মামুনকে আটক করা হয়েছিলো। তবে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত যারা দোষী ছিলো আওয়ামী লীগের নেতাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এ হত্যাকাণ্ডের দায়ভার মামুনকে বিনা কারণে আটক করে জেল হাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
এএইচ