০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর সময় ধরা, পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয় কবরস্থানে

পরদিন সকালে অর্থাৎ আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয়রা হাত-পা বাধা অবস্থায় কবরস্থানের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প থেকে একজন কর্মকর্তা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

আর্মি ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শরিফুল ইসলাম শান্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় (বয়স বিবেচনায় প্রেমিকার ঠিকানা প্রকাশ করা হলো না) প্রেমিকা উর্মির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। গত দুদিন ঘুরাঘুরি শেষে রাতে শুক্রবার রাতে প্রেমিকা উর্মিকে নিয়ে পালানোর কথা ছিল। তবে পালানোর সময় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা হাতে ধরা পড়লে তারা শান্তকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখেন।

আর্মি ক্যাম্প সুত্রে আরও জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। তার নিকট থেকে পাওয়া আইটেমগুলো চট্টগ্রাম আর্মি স্টোর থেকে কেনা হয়েছে।

এর আগে, শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শীতের পোশাক দেখে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল তিনি সেনাসদস্য হতে পারেন।

যুবককে উদ্ধারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে জানিয়েছিলেন, শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পারি জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানের বাগানের মধ্যে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তি পড়ে আছেন৷ পরে আমি সহ পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর একটু সুস্থতাবোধ করলে নিজের নাম শরিফুল ইসলাম শান্ত বলে জানান তিনি। নিজেকে একজন সেনাবাহিনীর সৈনিক বলে দাবি করেন। তার কর্মস্থল খুলনায় ও বাড়ি চট্রগ্রামে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওসি খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর মনোগ্রামযুক্ত শীতের পোশাক (ট্র্যাকস্যুট) ও ফেইস শিল্ড (গলায় মাফলার হিসেবে ব্যবহার করা হয়) পাওয়া গেছে। হাতে থাকা ঘড়িটিও সেনাবাহিনীর মনোগ্রামের রঙের সঙ্গে মিল রয়েছে। এছাড়া, তার প্রাথমিক আলামত ও চুলের কার্টিং দেখে ধারণা করা হচ্ছে সেনাসদস্য হতে পারেন। যাচাই করার জন্য বিজিবি ও সেনাসদস্যদের জানানো হয়েছে। বিজিবি যাচাই করে জানিয়েছেন এই যুবকের সঙ্গে বিজিবির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া যুবকের কোন সম্পর্ক নেই। প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে। পরে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হাত-পা বেধে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

চুয়াডাঙ্গায় প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর সময় ধরা, পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয় কবরস্থানে

প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

পরদিন সকালে অর্থাৎ আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয়রা হাত-পা বাধা অবস্থায় কবরস্থানের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প থেকে একজন কর্মকর্তা রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

আর্মি ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শরিফুল ইসলাম শান্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় (বয়স বিবেচনায় প্রেমিকার ঠিকানা প্রকাশ করা হলো না) প্রেমিকা উর্মির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। গত দুদিন ঘুরাঘুরি শেষে রাতে শুক্রবার রাতে প্রেমিকা উর্মিকে নিয়ে পালানোর কথা ছিল। তবে পালানোর সময় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা হাতে ধরা পড়লে তারা শান্তকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখেন।

আর্মি ক্যাম্প সুত্রে আরও জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। তার নিকট থেকে পাওয়া আইটেমগুলো চট্টগ্রাম আর্মি স্টোর থেকে কেনা হয়েছে।

এর আগে, শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া শীতের পোশাক দেখে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল তিনি সেনাসদস্য হতে পারেন।

যুবককে উদ্ধারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে জানিয়েছিলেন, শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পারি জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানের বাগানের মধ্যে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তি পড়ে আছেন৷ পরে আমি সহ পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর একটু সুস্থতাবোধ করলে নিজের নাম শরিফুল ইসলাম শান্ত বলে জানান তিনি। নিজেকে একজন সেনাবাহিনীর সৈনিক বলে দাবি করেন। তার কর্মস্থল খুলনায় ও বাড়ি চট্রগ্রামে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওসি খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর মনোগ্রামযুক্ত শীতের পোশাক (ট্র্যাকস্যুট) ও ফেইস শিল্ড (গলায় মাফলার হিসেবে ব্যবহার করা হয়) পাওয়া গেছে। হাতে থাকা ঘড়িটিও সেনাবাহিনীর মনোগ্রামের রঙের সঙ্গে মিল রয়েছে। এছাড়া, তার প্রাথমিক আলামত ও চুলের কার্টিং দেখে ধারণা করা হচ্ছে সেনাসদস্য হতে পারেন। যাচাই করার জন্য বিজিবি ও সেনাসদস্যদের জানানো হয়েছে। বিজিবি যাচাই করে জানিয়েছেন এই যুবকের সঙ্গে বিজিবির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া যুবকের কোন সম্পর্ক নেই। প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে। পরে প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হাত-পা বেধে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।