চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রামদিয়া কায়েতপাড়ায় বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় বটতলার মোড়ে খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে নেতা-কর্মীরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।
আলমডাঙ্গা খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদসহ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে রামদিয়া কায়েতপাড়ায় বিএনপি অফিসে হামলা চালায়।
এ সময় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছবি ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলায় অভিযুক্ত হিসেবে বিএনপি নেতারা রামদিয়া গ্রামের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
তারা হলেন- মৃত মুকছার গুলাফের ছেলে সোয়ার মিঠু, মৃত আফছারের ছেলে রফজেস, এবং মৃত সবদ আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন টাকু।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, বিএনপির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর মামলা, হামলা ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের নেতাদের বাড়িছাড়া করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। আওয়ামী লীগের নেতারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি এসব অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জিহাব, সদস্য মো. সাফায়েত হোসেন এবং খাসকররা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. নাসিম পারভেজ।
সুত্র – সময়ের সমীকরণ
এএইচ