০১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্য সংকটে ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্য

খাদ্যের সংকটের কারণে না খেতে পেয়ে ৩৪ বছর বয়সী ইসরায়েলি জিম্মি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাস। ওই সময় প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনো হামাসের হাতে ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মি রয়ে গেছে।

ভিডিওটির শিরোনামে হামাস লিখেছে, “যদিও সে (জিম্মি) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বেঁচে ছিল। কিন্তু খাবার ও ওষুধ সংকট থেকে সে বাঁচতে পারেনি।”

“অবরোধের কারণে গাজার মানুষ যেরকম খাবার ও ওষুধের সংকটে পড়েছে, তোমাদের জিম্মিদেরও এতে ভুগতে হবে।” যোগ করে হামাস।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় খাবার থেকে ওষুধ কোনো কিছু প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল ত্রাণ এলেও সেগুলো পাচ্ছেন না গাজার মানুষ। এতে করে অনাহারে থাকছেন বেশিরভাগ মানুষ।

মিসরের সিনাইয়ের আঞ্চলিক গভর্নর মোহাম্মদ সুসা বলেছেন, মিসরে এখন ত্রাণবাহী ৭ হাজার ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দখলদার ইসরায়েল এসব ত্রাণ আটকে রেখেছে। তারা বলছে আগে এগুলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এরপর ত্রাণগুলো গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আর ইসরায়েলিদের কারণে এখন ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে খাবার, ওষুধ এবং আশ্রয়ের উপকরণ প্রবেশে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

খাদ্য সংকটে ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্য

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

খাদ্যের সংকটের কারণে না খেতে পেয়ে ৩৪ বছর বয়সী ইসরায়েলি জিম্মি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাস। ওই সময় প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনো হামাসের হাতে ১৩০ জনেরও বেশি জিম্মি রয়ে গেছে।

ভিডিওটির শিরোনামে হামাস লিখেছে, “যদিও সে (জিম্মি) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে বেঁচে ছিল। কিন্তু খাবার ও ওষুধ সংকট থেকে সে বাঁচতে পারেনি।”

“অবরোধের কারণে গাজার মানুষ যেরকম খাবার ও ওষুধের সংকটে পড়েছে, তোমাদের জিম্মিদেরও এতে ভুগতে হবে।” যোগ করে হামাস।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় খাবার থেকে ওষুধ কোনো কিছু প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল ত্রাণ এলেও সেগুলো পাচ্ছেন না গাজার মানুষ। এতে করে অনাহারে থাকছেন বেশিরভাগ মানুষ।

মিসরের সিনাইয়ের আঞ্চলিক গভর্নর মোহাম্মদ সুসা বলেছেন, মিসরে এখন ত্রাণবাহী ৭ হাজার ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে দখলদার ইসরায়েল এসব ত্রাণ আটকে রেখেছে। তারা বলছে আগে এগুলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এরপর ত্রাণগুলো গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। আর ইসরায়েলিদের কারণে এখন ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে খাবার, ওষুধ এবং আশ্রয়ের উপকরণ প্রবেশে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।