চুয়াডাঙ্গার আন্দুলবাড়ীয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের মীরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের মীরপাড়ার মৃত. মীর নাসিরের স্ত্রী চায়না খাতুন (৫৪) দুই ছেলে মীর নাহিদ (৩৬) ও মীর নাসিম হোসেন (২৪), মীর নাহিদের স্ত্রী ময়না খাতুন (২৭), মেহেরপুর পৌর এলাকার খাপাড়ার খন্দকার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী হুসনে আরা (৫৪)।
আহত নাহিদ অভিযোগ করে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার দাদির মায়ের ১ বিঘা জমির শরিকানা নিয়ে চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গণ্ডগোল চলে আসছিল। তারা আমাদের প্রাপ্ত জমি বুঝিয়ে না দিয়ে দখলে রাখে। এ নিয়ে আদালতে মামলও চলমান রয়েছে।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মোখলেছুর রহমান টজো (৬৫), তার ছেলে শাফায়েত (২৪), একই এলাকার রমজান ডাক্তারের ছেলে খালিদ (৪৬) ও মৃত শামসুল হুদার মেয়ে গিতা রানি (৫০) জিআই পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় এবং পিটিয়ে আহত করেন। এতে আমাদের পক্ষের আমিসহ পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জোবাইদা জামান জয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আহত অবস্থায় নারী সহ ৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের সকলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। তবে সকলেই শঙ্কা মুক্ত।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএইচ