০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় থানা থেকে পালানো সেই আসামী গ্রেপ্তার

আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ভোরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই দূর্গাপুর এলাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

আসামি মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।

আরও

শুক্রবার (০১ নভেম্ভর) রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামীকে ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার দিনই কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৫৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারা খাতুন ও তার সহযোগী নাজমুল হুদাকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। ওইদিনই বিজিবির পক্ষ থেকে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করে। এরপরই মনোয়ারা খাতুনকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে, থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। ঘটনার অনুসন্ধান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জীবননগর থানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।

জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহের বেতাই দূর্গাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দিনই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে ৬ কেজি গাজাসহ দুজন আটক

চুয়াডাঙ্গায় থানা থেকে পালানো সেই আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ১২:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

আজ শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ভোরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেতাই দূর্গাপুর এলাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

আসামি মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।

আরও

শুক্রবার (০১ নভেম্ভর) রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামীকে ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার দিনই কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৫৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারা খাতুন ও তার সহযোগী নাজমুল হুদাকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। ওইদিনই বিজিবির পক্ষ থেকে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করে। এরপরই মনোয়ারা খাতুনকে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে, থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। ঘটনার অনুসন্ধান করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জীবননগর থানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।

জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহের বেতাই দূর্গাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ দিনই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।