চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি থেকে সুমাইয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা।
রোববার (৭ জুলাই) রাত অনুমানিক ৮টার দিকে সুমাইয়া খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত সুমাইয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের পুরাতন মসজিদপাড়ার শাওনের স্ত্রী এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের খোরদ গ্রামের প্রবাসী নাজমুল ইসলামের মেয়ে।

এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী শাওন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
শ্বশুর বাড়ি স্বজনরা আত্মহত্যা দাবি করলে ও সুমাইয়া খাতুনের মায়ের দাবি, তার মেয়েকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তদন্তপূর্বক মেয়ে হত্যার বিচারের দাবি করেন তিনি।
সুমাইয়া খাতুনের মা রাশিদা খাতুন রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, দুই বছর হলো মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। এর পর থেকেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মেয়েকে অত্যাচার করা হতো। বেশ কিছুদিন যাবত দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে মেয়ে জামায়। টাকা দিতে পারেনি বলে মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে শাওন। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, মেয়েকে ঠিকমতো কাপড়ও দিতো না। আমি কিনে দিতাম। জামায় শাওন দুই লাখ টাকা দাবি করেছিল। আমি সময়ও নিয়েলাম টাকা দেয়ার জন্য। মেয়েকে চাপ দিতো টাকার জন্য। নির্যাতন করতো। গত ৮ দিন আগে আমার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেয়েকে নিয়ে যায়। রোববার রাতে খবর পায় আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি দ্রুত মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে সেখানে কাউকেই পাইনি। মেয়েকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার সাইফুল ইসলাম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, আমার কয়েকটা বাড়ির পরেই শাওনের বাড়ি। কোন দিন শুনিনি সুমাইয়াকে মারধর করা হয়েছে। হতে পারে মনোমালিন্যের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এটা এখনো অস্পষ্ট।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোরশেদ আলম রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, পরিবারের সদস্যরা মৃত অবস্থায় সুমাইয়াকে জরুরি বিভাগের নিয়ে এসেছেন। তারা জানিয়েছেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, হত্যার অভিযোগ নয়, পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সদর হাসপাতাল থেকেও আত্মহত্যার বিষয়টি জানিয়েছেন। পরবর্তী আইনানুগ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এএইচ
হাসপাতাল প্রতিবেদক 























One thought on “চুয়াডাঙ্গায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধুকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ”