চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নানের ওপর হামলার ঘটনায় দুই দিন পেরোলেও অভিযুক্তদের এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না হলেও অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যহত ছিল বলে জানান জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।
এদিকে, ঢাকার জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের অস্ত্রপচারের পর তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার রাতে চেয়ারম্যানের স্বজনরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই উন্নতির দিকে বলে তারা জানিয়েছেন। হামলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ করেনি কেউ। তবে আমাদের একাধিক টিম অভিযুক্তদের সনাক্তে কাজ করছে। বেশকিছু তথ্য ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছিনা। অভিযুক্তদের আটকের পর সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টার দিকে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান দর্শনা থেকে বাজার করে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। আকন্দবাড়ীয়া আবাসন এলাকায় মোল্লাবাড়ির সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরিহিত দুজন মোটরসাইকেলযোগে পেছন থেকে তাঁর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। তিনি সেই অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে জখম গুরুতর ও ফুঁসফুঁসে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে দুপুরেই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে (হেলিকপ্টার) ঢাকার জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেয়া হয়।
এএইচ