আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জনগণের অধিকার ও ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৫ দফা দাবি পেশ করেছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে
আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর এ দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহসভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার তুষার ইমরান সরকার, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলিমুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক বনি আমিন, সদস্য জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিরসন, দুর্নীতি রোধ এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিম্নলিখিত ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন করা, জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের জন্য সমান সুযোগের পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমকে জানান, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও ন্যায্য রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তারা বলেন, “জনগণের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে, ইনশাআল্লাহ।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ্য কেবল নির্বাচনী রাজনীতি নয়, বরং দেশকে দুর্নীতি, বৈষম্য ও স্বৈরাচারমুক্ত করা। এজন্য জনগণের অংশগ্রহণে একটি ন্যায্য ও ইসলামভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















