০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াসের অপপ্রচারের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

বিদেশের মাটিতে বসে পরিকল্পিতভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেছে জেলা বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওতাধীন দুই উপজেলা (চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা), দুই পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সম্পাদকসহ শতাধিক নেতা-কর্মী।

চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ইলিয়াস হোসেন নামের এক সাংবাদিক বিদেশে বসে স্বাধীনতা বিরোধী একটি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। দলের ভেতর থেকে কিছু নব্য উদীয়মান মনোনয়নপ্রত্যাশীও তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত। তাদের উদ্দেশ্য, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে একটি বিশেষ মহলকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করা।

বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি। ৭৯, ৯১, ৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। কিন্তু যতবারই বিএনপির মাঠে জয়ের সম্ভাবনা জেগেছে, ততবারই কিছু কুচক্রী মহল বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এখন একই ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। শফিকুল ইসলাম পিটু বলেন, “৩ অক্টোবর রাতে ইলিয়াস একটি ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করে ঘোষণা দেন, পরের দিন বিস্তারিত আসবে। কিন্তু তিন দিন পর ৬ অক্টোবর তিনি এডিট করা ভিডিও প্রকাশ করেন। এটি স্পষ্টভাবে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে তৈরি ভিডিও।” বিএনপি নেতাদের দাবি, মজলুম নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ কখনো মিথ্যা বা বানোয়াট প্রচারণায় ভয় পান না। বরং আওয়ামী লীগের জুলুম, মামলা ও নির্যাতন সহ্য করেও তিনি বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। দেশনেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে তিনি তৃণমূল গোছানোর কাজে নিরলসভাবে কাজ করছেন। শরীফুজ্জামান শরীফ আজ চুয়াডাঙ্গার মানুষের কাছে একজন সৎ, মার্জিত, নির্ভীক ও ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত।

বক্তারা আরও বলেন, শরীফুজ্জামান শরীফের ভাই আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক চুয়াডাঙ্গার শ্রেষ্ঠ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও দানবীর হিসেবে স্বীকৃত। তিনি তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার নামে হোটেল সাহিদ প্যালেস গড়ে তুলেছেন, যার সমস্ত আয় ব্যয় করা হয় মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত পাঁচ শতাধিক এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীর কল্যাণে। অথচ ইলিয়াস হোসেন এই মহৎ কাজ নিয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছেন—যা তাঁর চাঁদাবাজ মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা আরও অভিযোগ করেন, ইলিয়াস হোসেনের উত্থান একুশে টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘একুশের চোখ’-এর মাধ্যমে, যেখানে তিনি সাংবাদিকতার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলের রাজনীতি শুরু করেন। পরে বিদেশে গিয়ে ইউটিউবকে ব্যবহার করছেন একইভাবে। তারা বলেন, ইলিয়াসের বাবা নূর হোসেন ছিলেন জীবননগর উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী দালাল আইনের ১১৬ জন রাজাকারের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমন রাজাকার পরিবারের সন্তান হয়েও ইলিয়াস আজ বিএনপির ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন।

বিএনপি নেতারা জানান, সম্প্রতি ইলিয়াস হোসেন ‘পুতুল’ নামের এক নারীকে ব্যবহার করে শরীফুজ্জামান শরীফের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিডিও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী ও তাঁর পরিবার স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই মিতুল একাধিকবার মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। বিজিবির হাতে ধরা পড়া এক নারী চোরাচালানকারীর জবানবন্দীতেও পুতুলের নাম এসেছে। অথচ ইলিয়াস ওই নারীকে সামনে এনে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপি নেতারা প্রশ্ন রাখেন, “যে সময়ের ঘটনা ওই নারী বলছেন, তা ২০১৯ বা ২০২১ সালের—তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তাহলে তিনি কেন তখন কোনো ব্যবস্থা নেননি?” তাদের মতে, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত মিথ্যাচার, যার মাধ্যমে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, “ইলিয়াস ভিডিও কাটছাঁট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে, কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন—মজলুম নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ কখনো মিথ্যার কাছে মাথানত করেন না। সত্য ও সাহসের পথেই তিনি চলেন।” তারা বলেন, ইলিয়াসের সব কাজই অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে, যেখানে সাংবাদিকতা নয়, বরং ব্ল্যাকমেইলই তাঁর পেশা হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতারা আরও বলেন, “চুয়াডাঙ্গার মানুষ শরীফ ভাইয়ের পাশে আছে। তাঁর সততা ও ত্যাগ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিকে আজ শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করিয়েছে। মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা বিএনপির আন্দোলনকে দুর্বল করতে পারবে না।”

সংবাদ সম্মেলনের শেষে উপস্থিত নেতারা সাংবাদিকদের আহ্বান জানান, যেন কেউ ইলিয়াস হোসেনের মতো চাঁদাবাজ ও রাজাকার পরিবারের সদস্যের প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্যে প্রভাবিত না হন। তারা একস্বরেই বলেন, “মিথ্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি, শরীফ ভাইয়ের নেতৃত্বেই সত্যের জয় হবেই।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন,  চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা মতসজিবি দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মওলানা আনোয়ার হোসেন,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেফালী বেগম, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরীন পারভীন,  জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দার সোনা, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল আলম জোয়ার্দার বিলু, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ছালাম বিপ্লব, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মহাবুল মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার কাজী সাচ্চু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সোহেল মালিক সুজন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুল হক মহাবুব সহ চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা  পৌর, ও উপজেলা  বিএনপির সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল ইউনিট এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অংগসঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা,

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াসের অপপ্রচারের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বিদেশের মাটিতে বসে পরিকল্পিতভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেছে জেলা বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পিটু লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওতাধীন দুই উপজেলা (চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা), দুই পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সম্পাদকসহ শতাধিক নেতা-কর্মী।

চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ইলিয়াস হোসেন নামের এক সাংবাদিক বিদেশে বসে স্বাধীনতা বিরোধী একটি গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। দলের ভেতর থেকে কিছু নব্য উদীয়মান মনোনয়নপ্রত্যাশীও তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত। তাদের উদ্দেশ্য, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে একটি বিশেষ মহলকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান করা।

বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা বিএনপির ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি। ৭৯, ৯১, ৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। কিন্তু যতবারই বিএনপির মাঠে জয়ের সম্ভাবনা জেগেছে, ততবারই কিছু কুচক্রী মহল বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এখন একই ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। শফিকুল ইসলাম পিটু বলেন, “৩ অক্টোবর রাতে ইলিয়াস একটি ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করে ঘোষণা দেন, পরের দিন বিস্তারিত আসবে। কিন্তু তিন দিন পর ৬ অক্টোবর তিনি এডিট করা ভিডিও প্রকাশ করেন। এটি স্পষ্টভাবে অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে তৈরি ভিডিও।” বিএনপি নেতাদের দাবি, মজলুম নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ কখনো মিথ্যা বা বানোয়াট প্রচারণায় ভয় পান না। বরং আওয়ামী লীগের জুলুম, মামলা ও নির্যাতন সহ্য করেও তিনি বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। দেশনেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে তিনি তৃণমূল গোছানোর কাজে নিরলসভাবে কাজ করছেন। শরীফুজ্জামান শরীফ আজ চুয়াডাঙ্গার মানুষের কাছে একজন সৎ, মার্জিত, নির্ভীক ও ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত।

বক্তারা আরও বলেন, শরীফুজ্জামান শরীফের ভাই আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক চুয়াডাঙ্গার শ্রেষ্ঠ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও দানবীর হিসেবে স্বীকৃত। তিনি তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার নামে হোটেল সাহিদ প্যালেস গড়ে তুলেছেন, যার সমস্ত আয় ব্যয় করা হয় মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত পাঁচ শতাধিক এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীর কল্যাণে। অথচ ইলিয়াস হোসেন এই মহৎ কাজ নিয়েও অপপ্রচার চালাচ্ছেন—যা তাঁর চাঁদাবাজ মনোভাবের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা আরও অভিযোগ করেন, ইলিয়াস হোসেনের উত্থান একুশে টিভির অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘একুশের চোখ’-এর মাধ্যমে, যেখানে তিনি সাংবাদিকতার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলের রাজনীতি শুরু করেন। পরে বিদেশে গিয়ে ইউটিউবকে ব্যবহার করছেন একইভাবে। তারা বলেন, ইলিয়াসের বাবা নূর হোসেন ছিলেন জীবননগর উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী দালাল আইনের ১১৬ জন রাজাকারের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। এমন রাজাকার পরিবারের সন্তান হয়েও ইলিয়াস আজ বিএনপির ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন।

বিএনপি নেতারা জানান, সম্প্রতি ইলিয়াস হোসেন ‘পুতুল’ নামের এক নারীকে ব্যবহার করে শরীফুজ্জামান শরীফের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিডিও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী ও তাঁর পরিবার স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভাই মিতুল একাধিকবার মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। বিজিবির হাতে ধরা পড়া এক নারী চোরাচালানকারীর জবানবন্দীতেও পুতুলের নাম এসেছে। অথচ ইলিয়াস ওই নারীকে সামনে এনে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপি নেতারা প্রশ্ন রাখেন, “যে সময়ের ঘটনা ওই নারী বলছেন, তা ২০১৯ বা ২০২১ সালের—তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তাহলে তিনি কেন তখন কোনো ব্যবস্থা নেননি?” তাদের মতে, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত মিথ্যাচার, যার মাধ্যমে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, “ইলিয়াস ভিডিও কাটছাঁট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে, কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন—মজলুম নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ কখনো মিথ্যার কাছে মাথানত করেন না। সত্য ও সাহসের পথেই তিনি চলেন।” তারা বলেন, ইলিয়াসের সব কাজই অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে, যেখানে সাংবাদিকতা নয়, বরং ব্ল্যাকমেইলই তাঁর পেশা হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতারা আরও বলেন, “চুয়াডাঙ্গার মানুষ শরীফ ভাইয়ের পাশে আছে। তাঁর সততা ও ত্যাগ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিকে আজ শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করিয়েছে। মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা বিএনপির আন্দোলনকে দুর্বল করতে পারবে না।”

সংবাদ সম্মেলনের শেষে উপস্থিত নেতারা সাংবাদিকদের আহ্বান জানান, যেন কেউ ইলিয়াস হোসেনের মতো চাঁদাবাজ ও রাজাকার পরিবারের সদস্যের প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্যে প্রভাবিত না হন। তারা একস্বরেই বলেন, “মিথ্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি, শরীফ ভাইয়ের নেতৃত্বেই সত্যের জয় হবেই।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন,  চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা মতসজিবি দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মওলানা আনোয়ার হোসেন,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেফালী বেগম, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরীন পারভীন,  জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ হোসেন জোয়ার্দার সোনা, যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল আলম জোয়ার্দার বিলু, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ছালাম বিপ্লব, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মহাবুল মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার কাজী সাচ্চু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সোহেল মালিক সুজন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুল হক মহাবুব সহ চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা  পৌর, ও উপজেলা  বিএনপির সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল ইউনিট এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অংগসঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা,