মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি জমা দিয়েই বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হওয়ার সুযোগ পেলেন চুয়াডাঙ্গার ১৬ তরুণ-তরুণী। শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্স মাঠে শুরু হয় নিয়োগ কার্যক্রম। প্রথম ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও অন্যান্য পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। এতে অংশগ্রহণ করেন মোট ২৮৪ জন চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণী। পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৪৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীসহ মোট ৫০ জন প্রার্থী।

পরবর্তীতে তারা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। ধাপে ধাপে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে অবশেষে নির্বাচিত হন ১৪ জন তরুণ এবং ২ জন তরুণী। চূড়ান্তভাবে নিয়োগ বোর্ড ঘোষিত ফলাফলে ১৬ জন তরুণ-তরুণীর হাতে ধরা দেয় আজীবনের স্বপ্ন—বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হওয়ার সুযোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জানান, নিয়োগের শুরু থেকেই বারবার প্রচারণা চালানো হয়—এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো দালাল, প্রতারক বা অবৈধ প্রভাবের সুযোগ নেই। স্থানীয় ডিস চ্যানেল, পত্রিকা, মাইকিং এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের সতর্ক করা হয়। পুলিশে যোগদানের একমাত্র পথ হলো প্রার্থীর নিজের মেধা ও যোগ্যতা।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. আহসান হাবীব, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ফলাফল ঘোষণার পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের চোখেমুখে ঝলমল করছিল অদম্য উচ্ছ্বাস। তারা জানান—নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে দালাল বা অবৈধ প্রভাব ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হতে পেরে তারা গর্বিত ও আনন্দিত।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















