আসন্ন জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সাংবাদিক এস কে লিটন। এর আগে তিনি কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন করেননি। এই প্রথম জীবননগর উপজেলা চেয়াম্যান প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি উপজেলার খয়েরহুদা মাঠপাড়া গ্রামের আবদুর রহমান ও জাহানারা খাতুন দম্পত্তির সন্তান।
তাঁর বর্তমান ঠিকানা জীবননগর পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শাপলকলি পাড়ায়। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস।
এস কে লিটনের হলফনামা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৮ টাকা। তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ ৯০ লাখ ২ হাজার ৪৩৭ টাকা। এই সম্পদের বিপরীতে তাঁর ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১৫ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০২ টাকা। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় এ তথ্য পাওয়া যায়।
কৃষিখাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১ লাখ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ লাখ টাকা, ব্যবসা ৮ লাখ ১০ হাজার ৫শ টাকা, চাকরি থেকে আয় ৪ লাখ টাকা ও মৎস্য, ডেইরি ফার্মসহ অন্যন্যা খাত থেকে বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৮ টাকা।
তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৩৭ টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে- নগদ ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত রয়েছে ২০ লাখ টাকা, তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাথী অটো রাইস মিলের শেয়ার বাবদ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ৩ লাখ টাকা ও ১৯ লাখ টাকার মোটর গাড়ি। এছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৪০ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায় ৪০ ভরি স্বর্ণের মূল্য উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ১ একর ২৭ শতক কৃষিজমি, যার মূল্য ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, আবাসিক-বাণিজ্য দালানের মূল্য ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা ও বাড়ির মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব মিলিয়ে মোট ৩৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা স্থাবর সম্পদের মালিক তিনি। এছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ বিঘা জমি, যার মূল্য ৬ লাখ টাকা।
এদিকে, জীবননগরে সাথী অটো রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে এস কে লিটন ইসলামী ব্যাংক জীবননগর শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন ১৫ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০২ টাকা।
এএইচ
রেডিও চুয়াডাঙ্গা ডেস্ক 























