চুয়াডাঙ্গায় নির্বিচারে পাখি শিকার বন্ধে মানবতার জন্য সংগঠনের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় পাখি শিকারিরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া শিকারের সরঞ্জাম জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বিত্তেরদাড়ি মাঠে কয়েকজন শিকারি টিয়া পাখি ধরতে ফাঁদ পেতে বসেছিল। স্থানীয় এক কৃষক বিষয়টি মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যার প্রভাষক আহসান হাবীবকে অবহিত করেন।
সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারিরা পালিয়ে যায় এবং তাদের ফেলে যাওয়া ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জব্দ করা সরঞ্জাম তিতুদহ বাজারে নিয়ে আসা হয়। পরে বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সব ফাঁদ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় মাঠে উপস্থিত কৃষকদের মাঝে বনপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন–২০১২ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয় এবং বন্যপ্রাণী রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব বলেন, “চুয়াডাঙ্গা জেলায় নানা প্রজাতির পাখির সমাহার বেড়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হঠাৎ করে পাখি শিকারিদের আনাগোনা বেড়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে পাখি নিধন বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছি। আজকের অভিযানও সেই প্রচেষ্টার অংশ। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ছানাউল্লাহ পাটোয়ারি স্যারের নির্দেশে অভিযানটি পরিচালিত হয়। আমাদের দাবী—শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, পুরো বাংলাদেশেই নির্বিচারে পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। এজন্য বন বিভাগের বাড়তি জনবল প্রয়োজন।”
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সাহাবুল, হাসানুজ্জামান রিগান, এহসান হাবীব নিরব, আলমাছ, আনাছ, বায়জিদ, নিরবসহ তিতুদহ বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















