০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড করার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড—এটি কোনো দাবি নয়, এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। সিনিয়র শিক্ষক মুহসীন আলীর সভাপতিত্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ কে এম নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের ১ম পে-স্কেলে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের জন্য একসঙ্গে সৃষ্ট পাঁচটি পদের মধ্যে চারটি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা পেলেও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদটি রয়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির নন-গেজেটেড মর্যাদায়। দীর্ঘ বৈষম্যের পর ২০১২ সালে এ পদকে গেজেটেড ঘোষণা করা হলেও এখনো এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড কার্যকর হয়নি।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কলেজ শাখার শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হলেও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদায় সীমাবদ্ধ। ফলে বহু শিক্ষক পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন—“একই যোগ্যতায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে এই বৈষম্যের শেষ কোথায়?”

শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, বৈষম্য দূর করতে কলেজের মতো মাধ্যমিকেও চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান চালু করা জরুরি। পাশাপাশি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।

মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা ঘোষণা দেন—সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাদের মতে, এ দাবিগুলো মেনে নিলে মাধ্যমিক শিক্ষা একটি আদর্শ পর্যায়ে উন্নীত হবে।

‎এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে আজ আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কে যেন নবম গ্রেডে উন্নীত করন করা হয়।  মাননীয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


‎এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক ‎মো: সাজিদ রহমান, মো: আব্দুল জব্বার, মাহমুদ মিলু, মামুনুর রশিদ, সাব্বির রহমান, ওসমান গণি, শামিম হোসেন, রাজু আহম্মেদ, মো: সাজন আলী, জুলিয়াস নাজনীন, মাহবুবা ফেরদৌস প্রমুখ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড করার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষকদের মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড—এটি কোনো দাবি নয়, এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার’ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। সিনিয়র শিক্ষক মুহসীন আলীর সভাপতিত্বে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ কে এম নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের ১ম পে-স্কেলে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের জন্য একসঙ্গে সৃষ্ট পাঁচটি পদের মধ্যে চারটি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা পেলেও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদটি রয়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেণির নন-গেজেটেড মর্যাদায়। দীর্ঘ বৈষম্যের পর ২০১২ সালে এ পদকে গেজেটেড ঘোষণা করা হলেও এখনো এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড কার্যকর হয়নি।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কলেজ শাখার শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হলেও মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদায় সীমাবদ্ধ। ফলে বহু শিক্ষক পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন—“একই যোগ্যতায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে এই বৈষম্যের শেষ কোথায়?”

শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, বৈষম্য দূর করতে কলেজের মতো মাধ্যমিকেও চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান চালু করা জরুরি। পাশাপাশি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।

মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা ঘোষণা দেন—সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাদের মতে, এ দাবিগুলো মেনে নিলে মাধ্যমিক শিক্ষা একটি আদর্শ পর্যায়ে উন্নীত হবে।

‎এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে আজ আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কে যেন নবম গ্রেডে উন্নীত করন করা হয়।  মাননীয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


‎এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক ‎মো: সাজিদ রহমান, মো: আব্দুল জব্বার, মাহমুদ মিলু, মামুনুর রশিদ, সাব্বির রহমান, ওসমান গণি, শামিম হোসেন, রাজু আহম্মেদ, মো: সাজন আলী, জুলিয়াস নাজনীন, মাহবুবা ফেরদৌস প্রমুখ।