০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দল যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে আমরা সবাই কাজ করব : শরীফুজ্জামান শরীফ

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা – ১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ধানের শীষের জন্য আমরা মাঠ প্রস্তুত রেখেছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য কাজ করতে হবে। দলের বাহিরে যাওয়ার  কেনো সুযোগ  নেই। সকলকে এটি ধারণ করতে হবে, মেনে চলতে হবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল চারটায় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরের এরশাদ মঞ্চে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে অনুষ্ঠিত জনসভায় এ কথা বলেন মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা- ১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।

শনিবার দুপুরের পর থেকেই জনসভায় অংশগ্রহণ করতে আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা দলে উপস্থিত হতে থাকেন জনসভা স্থল উপজেলা পরিষদ চত্বরের এরশাদ মঞ্চে। জনসভা চলাকালে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে প্রায় ৭টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গা শহর যানযটে পড়ে। ব্লক হয়ে যায় পুরো শহর। এসময় শহর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে শহরের প্রবেশ মুখে বিভিন্নভাবে যানযটের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বর, থানা রোড, স্টেসন রোড, চারতলা তলা মোড়সহ পুরো শহর লোকে লোকারন্য হয়ে ওঠে। ‘শহীদ জিয়া অমর হোক, জিয়ার সৈনিক এক হও, এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ্য জিয়া ঘরে ঘরে, তারেক জিয়া বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশ,’ এ ধরনের নানা স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই জনসভা ঘিরে অনুমানিক ২৫-৩০ হাজার লোকের সমাগন ঘটেছে।

জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘একটি প্রায় ধ্বংস স্তুপ দলকে প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তারেক রহমান আমাদের উজ্জিবিত করেছেন। ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে হলেও আমরা কেন্দ্র ঘোষিত প্রত্যেকটি দলীয় আয়োজন সম্পন্ন করেছি। মনোনয়ন নিয়ে আমি কথা বলবো না। কথা হলো একটাই আমাদের মার্কা ধানের শীষ। ধানের শীষের জন্য আমরা মাঠ রেডি রেখেছি। দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা একসাথে কাজ করবো।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘নতুন করে বলার কথা নাই। আজকে আমাদের জনসমুদ্র থেকে প্রমাণিত হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রতেকটি ইউনিট শক্তিশালী। আপনারা প্রত্যেকে এই দলের দায়িত্ব পালন করেন। আহ্বায়ক কমিটি থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ইউনিয়ন কমিটি গুলো তৌরির সময় বার বার বাধা দেয়া হয়েছে। শত কষ্টেও প্রতিটি স্থানে নির্বাচনের মাধমে ইউনিয়ন কমিটি হয়েছে। আমাদের কোনো পকেট কমিটি নেই। তফসিল দিয়ে প্রকাশ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা এবং পৌর কমিটি তৈরি হয়েছিলো। এই ফর্মুলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি প্রকাশ্যে ভোটাভোটির মাধ্যমে কমিটি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জেলা কমিটি গঠনের সময় অনেকে অপচেষ্টা করেছে। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা কমিটি হবে। সেটাই আমাদের জেলায় হয়েছে।’

এ সময় মো. শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান বলেছেন, ‘এখনো সংগ্রাম শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ আমরা বলতে চাই, মনোনয়ন যেই পাক না কেন, আমরা ধানের শীষের হয়ে চুয়াডাঙ্গা ১ ও ২ আসন আমাদের মা আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানকে দিতে পারি সেটিই আমাকের লক্ষ্য। এখানে ব্যাক্তির কোনো মূল্য নেই। মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে। আমরা চাই সেটি সাংগঠনিকভাবে হোক। এই ১৭ বছর যারা নির্বিচারে মামলা খেয়েছে, বছরের বছর পর অত্যাচারের স্বীকার হয়েছে, জেল খেটেছি। তাঁদেরকে যারা বাচিয়ে রেখেছে, তাদের কথাও ভাবতে হবে। জনাব তারেক রহমানের প্রত্যেক উপজেলায় লোক আছে। তিনি সকল খবর রাখেন।’

এ সময় মো. শরীফুজ্জামান শরীফ নেতাকর্মীদের সর্তক করে বলেন, ‘কোনো সালিশ বিচারে আমরা যাবো না। বাংলাদেশের ক্রান্তি লগ্নে শহীদ জিয়ার লোক বার বার দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়ে এ দেশকে সুসংগঠিত করেছে। আপনার আচরণে যেন মানুষ আমাদের হয়ে সংগঠিত হয়, সেদিকে সবাই নজর রাখবেন। সবার রিপোর্ট আমার কাছে আছে। একটি ভুলের কারণে সমস্ত ত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। মনে করবেন না, গ্রামে হচ্ছে কেউ জানবে না, তা নয় দল সব জানে। দলের হাত মাথার ওপর থেকে চলে গেলে বাড়ি ঘুমাতে পারবেন না। ভুল ক্রটিগুলো সংশোধন এখনি করেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফাসিস্ট মুক্ত হয়েছিলো এদেশ। সেই মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো সফিকুল ইসলাম পিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জিল্লুর রহমান ওল্টু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো আবু জাফর মন্টু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা মতসজিবি দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক মো সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা আইনজীবী ফোরাম এর আহবায়ক অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফ, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সারোয়ার বাবু, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মওলানা আনোয়ার হোসেন।

জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সকল ওয়ার্ড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ৩০ হাজার লোকের সমাগম হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

দল যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষে আমরা সবাই কাজ করব : শরীফুজ্জামান শরীফ

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা – ১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ধানের শীষের জন্য আমরা মাঠ প্রস্তুত রেখেছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য কাজ করতে হবে। দলের বাহিরে যাওয়ার  কেনো সুযোগ  নেই। সকলকে এটি ধারণ করতে হবে, মেনে চলতে হবে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল চারটায় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরের এরশাদ মঞ্চে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে অনুষ্ঠিত জনসভায় এ কথা বলেন মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা- ১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন।

শনিবার দুপুরের পর থেকেই জনসভায় অংশগ্রহণ করতে আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা দলে উপস্থিত হতে থাকেন জনসভা স্থল উপজেলা পরিষদ চত্বরের এরশাদ মঞ্চে। জনসভা চলাকালে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে প্রায় ৭টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গা শহর যানযটে পড়ে। ব্লক হয়ে যায় পুরো শহর। এসময় শহর থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে শহরের প্রবেশ মুখে বিভিন্নভাবে যানযটের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বর, থানা রোড, স্টেসন রোড, চারতলা তলা মোড়সহ পুরো শহর লোকে লোকারন্য হয়ে ওঠে। ‘শহীদ জিয়া অমর হোক, জিয়ার সৈনিক এক হও, এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ্য জিয়া ঘরে ঘরে, তারেক জিয়া বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশ,’ এ ধরনের নানা স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই জনসভা ঘিরে অনুমানিক ২৫-৩০ হাজার লোকের সমাগন ঘটেছে।

জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘একটি প্রায় ধ্বংস স্তুপ দলকে প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তারেক রহমান আমাদের উজ্জিবিত করেছেন। ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে হলেও আমরা কেন্দ্র ঘোষিত প্রত্যেকটি দলীয় আয়োজন সম্পন্ন করেছি। মনোনয়ন নিয়ে আমি কথা বলবো না। কথা হলো একটাই আমাদের মার্কা ধানের শীষ। ধানের শীষের জন্য আমরা মাঠ রেডি রেখেছি। দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা একসাথে কাজ করবো।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘নতুন করে বলার কথা নাই। আজকে আমাদের জনসমুদ্র থেকে প্রমাণিত হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রতেকটি ইউনিট শক্তিশালী। আপনারা প্রত্যেকে এই দলের দায়িত্ব পালন করেন। আহ্বায়ক কমিটি থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ইউনিয়ন কমিটি গুলো তৌরির সময় বার বার বাধা দেয়া হয়েছে। শত কষ্টেও প্রতিটি স্থানে নির্বাচনের মাধমে ইউনিয়ন কমিটি হয়েছে। আমাদের কোনো পকেট কমিটি নেই। তফসিল দিয়ে প্রকাশ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা এবং পৌর কমিটি তৈরি হয়েছিলো। এই ফর্মুলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি প্রকাশ্যে ভোটাভোটির মাধ্যমে কমিটি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জেলা কমিটি গঠনের সময় অনেকে অপচেষ্টা করেছে। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা কমিটি হবে। সেটাই আমাদের জেলায় হয়েছে।’

এ সময় মো. শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান বলেছেন, ‘এখনো সংগ্রাম শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ আমরা বলতে চাই, মনোনয়ন যেই পাক না কেন, আমরা ধানের শীষের হয়ে চুয়াডাঙ্গা ১ ও ২ আসন আমাদের মা আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমানকে দিতে পারি সেটিই আমাকের লক্ষ্য। এখানে ব্যাক্তির কোনো মূল্য নেই। মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে। আমরা চাই সেটি সাংগঠনিকভাবে হোক। এই ১৭ বছর যারা নির্বিচারে মামলা খেয়েছে, বছরের বছর পর অত্যাচারের স্বীকার হয়েছে, জেল খেটেছি। তাঁদেরকে যারা বাচিয়ে রেখেছে, তাদের কথাও ভাবতে হবে। জনাব তারেক রহমানের প্রত্যেক উপজেলায় লোক আছে। তিনি সকল খবর রাখেন।’

এ সময় মো. শরীফুজ্জামান শরীফ নেতাকর্মীদের সর্তক করে বলেন, ‘কোনো সালিশ বিচারে আমরা যাবো না। বাংলাদেশের ক্রান্তি লগ্নে শহীদ জিয়ার লোক বার বার দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়ে এ দেশকে সুসংগঠিত করেছে। আপনার আচরণে যেন মানুষ আমাদের হয়ে সংগঠিত হয়, সেদিকে সবাই নজর রাখবেন। সবার রিপোর্ট আমার কাছে আছে। একটি ভুলের কারণে সমস্ত ত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। মনে করবেন না, গ্রামে হচ্ছে কেউ জানবে না, তা নয় দল সব জানে। দলের হাত মাথার ওপর থেকে চলে গেলে বাড়ি ঘুমাতে পারবেন না। ভুল ক্রটিগুলো সংশোধন এখনি করেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফাসিস্ট মুক্ত হয়েছিলো এদেশ। সেই মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে।’

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো সফিকুল ইসলাম পিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি মো আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জিল্লুর রহমান ওল্টু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো আবু জাফর মন্টু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা মতসজিবি দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক মো সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা আইনজীবী ফোরাম এর আহবায়ক অ্যাড. আ স ম আব্দুর রউফ, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সারোয়ার বাবু, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মওলানা আনোয়ার হোসেন।

জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সকল ওয়ার্ড এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ৩০ হাজার লোকের সমাগম হয়।