০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় স্মার্টফোন কিনে দিতে ব্যর্থ দিনমজুর বাবা, অভিমানে স্কুলছাত্রীর আ ত্ম হ ত্যা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কান্তপুরে পিতা-মাতার উপর অভিমান করে নূরতাজ (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শনিবার (১২ জুলাই) বেলা ২টার দিকে নিজ শয়নকক্ষে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি টের পেলে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নূরতাজের মৃতদেহ উদ্ধার করে। 

নিহত নুরতাজ আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদিমপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামের আজাদ মালিতার ছোট মেয়ে নুর তাজ। সে স্থানীয় নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

খবর পেয়ে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চিতসহ পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অঅভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয় প্রশাসন।

নূরতাজের মা বলেন, গত কয়েকদিন যাবত  স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল নূরতাজ। তাৎক্ষণিকভাবে দিনমজুর বাবার পক্ষে কিনে দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি নিজেও বলেছি, প্রয়োজনে তোমার নানী বাড়ি থেকে টাকা সংগ্রহ করে স্মার্টফোন কিনে দেবো। তবে আমার মেয়েটা অপেক্ষা করল না বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। 

পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে গোসল করার পর নিজ ঘরে ঢুকে দরজা জানা বন্ধ করে দেয় নূরতাজ। অনেক্ষণ কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের কোনের একটি ফাঁক দিয়ে স্কুল ছাত্রীর বড় বোন উকি দিয়ে দেখতে পান ঘরে আড়ার সাথে তার ছোটবোন ঝুলছে । তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান ( পিপিএম ) রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দরিদ্র দিনমজুর বাবার পক্ষে স্মার্টফোন কিনে দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয়

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে : আবহাওয়া অধিদপ্তর  

আলমডাঙ্গায় স্মার্টফোন কিনে দিতে ব্যর্থ দিনমজুর বাবা, অভিমানে স্কুলছাত্রীর আ ত্ম হ ত্যা

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কান্তপুরে পিতা-মাতার উপর অভিমান করে নূরতাজ (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শনিবার (১২ জুলাই) বেলা ২টার দিকে নিজ শয়নকক্ষে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি টের পেলে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নূরতাজের মৃতদেহ উদ্ধার করে। 

নিহত নুরতাজ আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদিমপুর ইউনিয়নের কান্তপুর গ্রামের আজাদ মালিতার ছোট মেয়ে নুর তাজ। সে স্থানীয় নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

খবর পেয়ে স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ আত্মহত্যার ঘটনাটি নিশ্চিতসহ পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অঅভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয় প্রশাসন।

নূরতাজের মা বলেন, গত কয়েকদিন যাবত  স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়না করছিল নূরতাজ। তাৎক্ষণিকভাবে দিনমজুর বাবার পক্ষে কিনে দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি নিজেও বলেছি, প্রয়োজনে তোমার নানী বাড়ি থেকে টাকা সংগ্রহ করে স্মার্টফোন কিনে দেবো। তবে আমার মেয়েটা অপেক্ষা করল না বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। 

পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে গোসল করার পর নিজ ঘরে ঢুকে দরজা জানা বন্ধ করে দেয় নূরতাজ। অনেক্ষণ কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের কোনের একটি ফাঁক দিয়ে স্কুল ছাত্রীর বড় বোন উকি দিয়ে দেখতে পান ঘরে আড়ার সাথে তার ছোটবোন ঝুলছে । তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান ( পিপিএম ) রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দরিদ্র দিনমজুর বাবার পক্ষে স্মার্টফোন কিনে দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।