টানা ৭ দিন বন্ধ থাকবে দর্শনা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। পবিত্র ঈদুল ফিতর, পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন দর্শনা স্থলবন্ধরের কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তিনি বলেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে দর্শনা স্থল ও রেলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কাস্টম ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবারের সাথে ঈদ করতে রওনা দেবেন। ঈদের পর পহেলা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটি। ঈদের আগে ও পরে সবমিলিয়ে মোট ৭ দিন বন্ধ থাকবে বন্দরের কার্যক্রম। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল যথারীতি চালু থাকবে। আগামী ১৪ এপ্রিল ছুটি শেষ হবে এবং ১৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
দর্শনা চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, ৮-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। এমনকি ঈদের দিনও চালু থাকবে যাত্রী চলাচল। সরকারি ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি ছুটি পেয়েছি, তবে সবার একসাথে ছুটি হয়নি। কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে কিছু জনবল এসময় থাকবে।’
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, ঈদ, বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দর্শনা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি কর্মদিবস থাকলেও বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি ও কাস্টমসের কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও জানান, ঈদের সময় ভারতগামী যাত্রীদের খুব একটা চাপ না থাকায় ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী আন্তর্জান্তিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ভারতের যে খালি ওয়াগনগুলো রয়েছে, সেগুলো ঈদের আগেই পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠানো হবে। কারণ ওয়াগনের জন্য ভারতকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হয়।
এএইচ