গত ২২ দিন আগে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার সজীবের সঙ্গে একই উপজেলার এক কিশোরীর (১৫) পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধুর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামী সজিবের। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার কিশোরী নববধু চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কিশোরী নববধু ও তার বাবা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী নববধু জানিয়েছে, তার জন্মদাতা বাবা তাকে বিভিন্ন সময় জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে মেয়েটির মা বাদি হয়ে নিজ স্বামীর নামে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে বাবা আলতাফ হোসেনও বিষয়টি পুলিশের নিকট স্বীকার করেছেন বলে রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া।
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত বাবা আলতাফ হোসেনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধুর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্বামী সজিব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এরপরই স্বামী সজীবের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। বাড়ি এসে পরিবারকে জানায় সজিব। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কাজী তালাক কার্যক্রম করতে অস্বীকৃতি জানায়।
অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। সে গত ১৭ বছর আলমডাঙ্গার উপজেলায় বিয়ের পর থেকে ঘর জামায় হিসেবে থাকছেন। আর সেই আপন মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ গনি মিয়া রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, কিশোরি মেয়ে ও তার বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমাদের নিকট।
তিনি আরও বলেন, গত ২২ দিন আগে কিশোরী নববধুর বিবাহ হয়। এরপর থেকে স্বামী তার স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের নিকট পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হন। এঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
(বিদ্র: মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ‘ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীর পরিচয় (পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলের নামসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য) প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকল রেডিও চুয়াডাঙ্গা)
এএইচ