আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগকালে এক পথসভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই। বিএনপি জনগণের দল, ধানের শীষ জনগণের আশা ও বিশ্বাসের প্রতীক। আমরা ঘরে ঘরে ধানের শীষের শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে কাজ করছি। তৃণমূল পর্যায় থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও কুমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।

দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির এই নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ। স্থানীয় বাজার ও পাড়া-মহল্লায় জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা বার্তা। এসময় তিনি জনগণের কাছে বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দলের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশ পুনর্গঠনের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শরীফুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি রাষ্ট্র মেরামতের কর্মপরিকল্পনা, যার মাধ্যমে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। তরুণ প্রজন্মকে এই রূপরেখা জানতে হবে এবং দেশ পুনর্গঠনের এই আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। তাদের উদ্যম, বিশ্বাস ও নেতৃত্বই আগামী বাংলাদেশের চালিকাশক্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতা চায় জনগণের কল্যাণে, ব্যক্তিস্বার্থে নয়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে, বিচারহীনতা বন্ধ হবে এবং দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো নতুনভাবে গড়ে উঠবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করা।’
শরীফুজ্জামান শরীফ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন সময় ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার, প্রতিটি ভোটারকে অনুপ্রাণিত করার এবং ধানের শীষের পক্ষে জনসমর্থনকে আরও সুদৃঢ় করার। ঐক্য, সাহস ও সততার মধ্য দিয়েই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে যাব।’

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুল হক মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার কাজী সাচ্চু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী আলম বাবু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীন মোল্লা, সদস্যসচিব সাইফুল আলম কনক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, সাবেক ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব তন্ময় আহমেদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাকারিয়া হোসেন শান্তসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদ, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ঝণ্টু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি তোফাজ্জল, সাধারণ সম্পাদক আবু সামা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সুজন, সাধারণ সম্পাদক আইজেল এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন, সাধারণ সম্পাদক সুখ চান মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।
এএইচ
নিজস্ব প্রতিবেদক 























