চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার ধোপাখালি গ্রামে মশার কয়েল থেকে অগ্নিকান্ডে হতদরিদ্র পরিবারের ১৫টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। জীবন-জীবিকার একমাত্র আয়ের উৎস ছাগলগুলো হারিয়ে পথে বসার উপক্রম পরিবারটির। সন্তানের মতো পরম যত্নে লালন-পালন করছিলেন।
কিন্তু কয়েলের আগুনে ১৫ ছাগল পুড়ে মারা গেছে। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ছাগলগুলোর মালিক বৃদ্ধ জয়নাল হোসেন (৬২)। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এসকে লিটন এবং আর্থিক সহযোগীতা করেন।
ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী প্রতিবেশী রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, রাতে অনবরত ছাগলের ডাক শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখেন জয়নাল হোসেনের গোয়ালঘরে আগুন জলছে। তিনি দ্রুত এসে সবাইকে ডাকেন। এরপর পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়। ততক্ষণে ছাগলগুলো পুড়ে মারা যায়।
ভুক্তভোগী জয়নাল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এই ছাগলগুলো লালন-পালন করে তার সংসার চলে। গোয়ালে ১৬টি ছাগল ছিল। এর মধ্যে একটি ছোট বাচ্চা ছাড়া সব ছাগল পুড়ে মারা গেছে। এতে তার প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌফিকুর রহমান টিটু রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, জয়নাল হোসেন গ্রামের একজন হতদরিদ্র মানুষ। ছাগল পালনই ছিল তার আয়ের একমাত্র উৎস। মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকান্ডে তার সব ছাগল পুড়ে মারা গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখের। তিনি একেবারে সহায়-সম্বলহীন হয়ে গেলেন।
এদিকে ঘটনার পর ছুটে আসেন সাংবাদিক এসকে লিটন। তিনি অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ান এবং নগত অর্থ সহায়তা করেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ রেডিও চুয়াডাঙ্গা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দরখাস্ত করতে বলেছি। আবেদন পেলে উপজেলা প্রশাসন থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে।’
এএইচ
রেডিও চুয়াডাঙ্গা 























