১০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুপিয়ে হত্যার পর চুয়াডাঙ্গার গৃহবধূ তাসলিমার লাশ বিলের পানিতে ফেলা হয়

জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাসলিমা খাতুন (৫০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুরের চাঁদবিল গ্রামের একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তিনি তার বাবার বাড়ি চাঁদবিলে মাঝেমাঝে বসবাস করতেন।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, তাছলিমা দু’দিন আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে চাঁদবিল গ্রামে তার বাবার বাড়িতে আসেন। বুধবার দুপুর থেকে তার আর সন্ধান মেলেনি। সন্ধান না পেয়ে তার ছেলে রনি মেহেরপুর সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।


ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন বিলের একটি কচুরিপানার মাঝে সন্দেহজনক কিছু দেখে তার ছেলেসহ পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সদর থানার একটি দল। কচুরিপানা সরিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে তাসলিমা খাতুনের লাশ উদ্ধারের পরপরই তার ভাইদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বামী আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, পৈতৃক সম্পত্তির ১২ বিঘা জমির মধ্যে সাড়ে ১০ কাঠা জমি মৌখিকভাবে দিলেও তার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি তারা। তার বাবার অবশিষ্ট জমির প্রাপ্য ভাগ চাওয়ায় তাসলিমার ভাই আব্দুল বারেক, মন্টু আলী, লাল্টু হোসেন, আব্দুল হক, কান্টু হোসেন মিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন।

তাসলিমার ছেলে রনি গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সঙ্গে মামাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আমার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে মামারা।

প্রতিবেশী আলেয়া খাতুন গণমাধ্যমকে জানান, তাসলিমা খাতুনের স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও বছর তিনেক আগে থেকে তার বাবা মরহুম বরকত আলীর জমিতে চাঁদবিলে এসে মাঝে মাঝে বসবাস করতেন। বাবার জমির ভাগ নিতেই তিনি এখানে থাকতেন। আবার চুয়াডাঙ্গাতেও যেতেন মাঝেমধ্যে।

এএইচ

জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গা শহরের বিশ্বাস টাওয়ার ও আসমা টাওয়ারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ

কুপিয়ে হত্যার পর চুয়াডাঙ্গার গৃহবধূ তাসলিমার লাশ বিলের পানিতে ফেলা হয়

প্রকাশের সময় : ১০:২১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাসলিমা খাতুন (৫০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুরের চাঁদবিল গ্রামের একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তিনি তার বাবার বাড়ি চাঁদবিলে মাঝেমাঝে বসবাস করতেন।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, তাছলিমা দু’দিন আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে চাঁদবিল গ্রামে তার বাবার বাড়িতে আসেন। বুধবার দুপুর থেকে তার আর সন্ধান মেলেনি। সন্ধান না পেয়ে তার ছেলে রনি মেহেরপুর সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।


ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন বিলের একটি কচুরিপানার মাঝে সন্দেহজনক কিছু দেখে তার ছেলেসহ পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সদর থানার একটি দল। কচুরিপানা সরিয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে তাসলিমা খাতুনের লাশ উদ্ধারের পরপরই তার ভাইদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বামী আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, পৈতৃক সম্পত্তির ১২ বিঘা জমির মধ্যে সাড়ে ১০ কাঠা জমি মৌখিকভাবে দিলেও তার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি তারা। তার বাবার অবশিষ্ট জমির প্রাপ্য ভাগ চাওয়ায় তাসলিমার ভাই আব্দুল বারেক, মন্টু আলী, লাল্টু হোসেন, আব্দুল হক, কান্টু হোসেন মিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন।

তাসলিমার ছেলে রনি গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সঙ্গে মামাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আমার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে মামারা।

প্রতিবেশী আলেয়া খাতুন গণমাধ্যমকে জানান, তাসলিমা খাতুনের স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও বছর তিনেক আগে থেকে তার বাবা মরহুম বরকত আলীর জমিতে চাঁদবিলে এসে মাঝে মাঝে বসবাস করতেন। বাবার জমির ভাগ নিতেই তিনি এখানে থাকতেন। আবার চুয়াডাঙ্গাতেও যেতেন মাঝেমধ্যে।

এএইচ