বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মারা গেছেন। ইন্না-লিল্লাহি…. রজিউন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!আজ শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন। আজ বিকেলের লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়। এরপর সন্ধার ৭টা ২০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।
দাফনের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সকালে মরদেহ চুয়াডাঙ্গাতে নেয়া হবে। শনিবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে জানাযার নামায শেষে জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে মায়ের করবের পাশে শায়িত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৩ দিন আগে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। তার দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৫ মার্চ ১৯৪৬ সালে এক মুসলিম পরিবারে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের জন্মগ্রহন করেন। তার পৈতৃক নিবাস চুয়াডাঙ্গা শহরের আরাম পাড়া এলাকায়। তার পিতার নাম মরহুম সিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার এবং মাতা মরহুমা আছিয়া খাতুন। পিতা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
পেশায় ব্যবসায়ী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন) রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন হতেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি চুয়াডাঙ্গা মহকুমার সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৩ সালে চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের সভাপতি, ৭৯ সালে আওয়ামী লীগের জেলা সেক্রেটারী ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভারত হতে ট্রেনিং নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
জোয়ার্দ্দার চুয়াডাঙ্গা রাইফেল ক্লাব, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার দীর্ঘ সময়ের সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।চুয়াডাঙ্গা জেলার ভ্রমণ গাইড
১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ছাড়া নির্বাচনেও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
এএইচ