চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে সাফিদ আহম্মেদ শাম্য (১৯) নামের এক কলেজছাত্র আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রোববার (১৫ জুন) ভোরে নিজ শয়নকক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
সাফিদ আহম্মেদ শাম্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের এনজিও কর্মী আব্দুল হান্নানের ছেলে। তিনি মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবত মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাবা-মায়ের নিকট আবদার করতে থাকে সাফিদ আহম্মেদ শাম্য। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় তার। রাতেই তার এক বন্ধুকে মুঠোফোনে আত্মহত্যার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন শাম্মু। পরে শাম্যর এক প্রতিবেশির মাধ্যমে যোগাযোগ করে তার পরিবারকে আত্মহত্যার বিষয়ে জানান। পরে ভোরে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজ ছাত্র শাম্যর মরদেহ উদ্ধার করে।
সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবলু সরকার রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে। মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান রেডিও চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে বাবা-মায়ের উপর অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে৷ কোন অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপেক্ষিতে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এদিকে, রাত ১০টায় প্রতিবেদনটি সম্পাদনা করা হয়েছে
সংবাদটি প্রকাশ হলে রেডিও চুয়াডাঙ্গার ফেসবুক পেজে কমেন্টের ঝড় উঠে। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অনেকেই ভুল তথ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
Aktaruz Zaman Jewel নামের একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, এই হলো চুয়াডাঙ্গার পুলিশ ও সাংবাদিকদের অবস্থা। ভাই আপনার কি ইনভেস্টিগেশন করলেন।আপনাদের কাজ তো সত্যিটা জনগণের সামনে তুলে ধরা। শুনলাম সাম্য ওর গার্লফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে সুইসাইড করেছে, তাইলে ওর ফোন কেন চেক করা হচ্ছেনা? নাকি কেউ আগেই প্রমাণ লুকিয়ে দিয়েছে। এর সঠিক ইনভেস্টিগেশন করা হোক।

Md Rakib নামের একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, এই ছেলে একটা মেয়ে কে ভালোবাসতো, বিয়ে করতে চেয়েছিলো কিন্তু মেয়ে টা রাজি হয়নি, ছেলেটা মেয়েটাকে ফোনে বলে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো কিন্তু মেয়েটি বিষয়টা মজার ছলে নেই, আর সেই মহূতেই ফোন রেখেই গলাই ফাস দেই ছেলেটি।

Zara Noor নামের এক নারী মন্তব্যের ঘরে লেখেন, এই হলো চুয়াডাঙ্গার পুলিশ ও সাংবাদিকদের অবস্থা। ভাই আপনার কি ইনভেস্টিগেশন করলেন।আপনাদের কাজ তো সত্যিটা জনগণের সামনে তুলে ধরা। শুনলাম সাম্য ওর গার্লফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে সুইসাইড করেছে, তাইলে ওর ফোন কেন চেক করা হচ্ছেনা? নাকি কেউ আগেই প্রমাণ লুকিয়ে দিয়েছে। এর সঠিক ইনভেস্টিগেশন করা হোক। সাম্যর গার্লফ্রেন্ড ডাবল টাইমিং করতো, সাম্যর সাথে রিলেশন থাকা সত্ত্বেও আরেক ছেলের সাথে ১৪ই এপ্রিল ঘুরতে গেছে। আরো অনেক কিছু হয়ছে। চুয়াডাঙ্গার সবাই জানে সাম্য ও সাম্যর প্রেমিকা নেশায় আসক্ত ছিল। আপনারা সাম্যর ফেসবুক আইডি চেক করেন।
এএইচ