নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে নেওয়া আগাম জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চুয়াডাঙ্গার নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন বিএনপি-জামায়াতের ১০৭ নেতাকর্মী। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে চুয়াডাঙ্গার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার তিনজনকে জামিন মঞ্জুর করেন। এবং ৪৭ জনকে নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত একেএকে জামিন আবেদন নাচক করলে জামিন আবেদন চাওয়া প্রায় ৫৭ জন জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মী লাপাত্তা হয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহাজাহান মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৮টি নাশকতা মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ১০৭ জনের পাওয়া জামিনের মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ শেষ হবে। এ জন্য আজ বৃহস্পতিবার ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গার নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তিনজনকে জামিন দিলেও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় প্রায় ৫৭ জন নেতা-কর্মী আমাকে কিছুই না জানিয়ে ও আলোচনা না করেই চলে চলে গেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ৩১ মার্চ হাইকোর্টে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তারা আবেদন করেন জামিনের জন্য।
আদালত চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান কবির, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো ইউসুফ আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো রুহুল আমিনসহ ৪৭ নেতা-কর্মীকে জামিন নাচক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ সময় জামিন নিতে আসা ৫০ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে চলে এসেছেন বলে জেনেছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সব কিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, নাশকতা মামলায় হাজিরা দিতে আসলে ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আদালত থেকে ৫০ জন চলে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আদালতে হাজির হননি। তাদের তো আমরা চিনি না। ৪৭ জনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এএইচ