বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দরী নায়িকাদের মধ্যে ইয়ামিন হক ববি উল্লেখযোগ্য একজন। এইবার চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির বিরুদ্ধে চুরি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রোববার (৩০ জুন) দুপুরে গুলশান থানায় মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা নামের এক ব্যক্তি এ অভিযোগ করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম।
২৩ জুন দুপুরে গুলশান থানায় মামলাটি করেন মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা নামের এক ব্যবসায়ী।
এতে ববি হক ও তার কথিত বন্ধুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, মারধর ও চুরিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। মামলার কাগজটি ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, এই মামলায় ববি হককে দ্বিতীয় আসামি করা হলেও প্রথম আসামি আবুল বাশার; যার পুরো নাম মির্জা আবুল বাসার।
মামলা বিবরণীতে বলা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারণ জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৪২৭, ৫০৬ ধারায় করা মামলাটির তদন্ত করছেন গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। ঐ রেষ্টুরেন্টটি নায়িকা তার নামে নামকরণ করেন ‘ববস্টার’। এই রেস্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল ববি ও বাশারের। প্রথমে ১৫ লাখ পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও দুটি চেকই বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে দ্বন্দ্ব বাঁধে। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘ববি আর বাশার মূলত ক্রেতা। তারা কেনার কথা বলেও টাকা পরিশোধ করেননি। পাশাপাশি জোর করে পেশী শক্তি খাটিয়ে রেস্টুরেন্টটা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আজ রাতে গুলশান থানায় এ বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর মামলার বাকি অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে পারব।’
অন্যদিকে, মামলার বাদী মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা মূলত ভবনটির মালিক। বকেয়া ভাড়া ও অনিয়মের অভিযোগে তিনি রেস্তরাঁটি বন্ধ করার নির্দেশ দিলে মারামারি ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, একটি রেস্টুরেন্টে দু’পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। দু’পক্ষই পৃথক পৃথক অভিযোগ করেছে। তাদের ডেকেছি, দু’পক্ষের সঙ্গে একসঙ্গে বসে কথা বলবো।
প্রসঙ্গত, ববি ও মির্জা আবুল বাসার নামের এক ব্যক্তি যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। ওই রেস্টুরেন্টটির ‘ববস্টার’ নাম দেওয়া হয়। সেই রেস্টুরেন্ট নিয়েই মুলত এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
এএইচ